Saturday, June 18, 2016

"সবুজ মেঘের ছায়ায়"

সময়টা ছিল অনেক রুক্ষ। শুকিয়ে যাওয়া ঝরা পাতা, বসন্ত বাতাসে উড়ে যাওয়া ধুলোআর তৃষ্ণার্ত মাটি। সঙ্গে কড়া রোদ। বৃষ্টির অপেক্ষায় থাকতে থাকতে আকাশটাও ছিল বিরক্ত। তার মাঝেই মার্চের মাঝামাঝিতে আমারা কজন বন্ধুর এই ঘোরাঘুরি। ছুটির অলস দিনগুলোতে প্রকৃতির আরো একটু কাছাকাছি যাওয়া। কড়া দুপুরে গ্রামের কোন ছোট্ট চায়ের দোকানে বাঁশের মাচার উপর বসে থাকা। আর এর সঙ্গে রুক্ষ ধুলো ওড়ানো পাহাড়ি পথ। সময়ের ফ্রেমে নিজেকে না বেধে একটু অগোছালো হয়ে ঘোরাঘুরি করতেই পাহাড়ি জেলা খাগড়াছড়িতে আসা।
ইচ্ছে ছিল,গতানুগতিক কোন পর্যটন কেন্দ্রে নয়, একটু অন্য রকম কোন প্রকৃতিতে নিজেকে আবিষ্কার করার। যেখানে প্রকৃতি মনের জানালা খুলে ভাবার জন্য আমাকে এক টুকরো শান্তি এনে দেবে। তার খোঁজেই আমরা এবার হেঁটেছি অজানা পথে- সঙ্গী করে অজানা পথিককে।
খাগড়াছড়ি যার স্থানীয় নাম চেংমাই। এরই বুক চিরে রয়েছে চেঙ্গী নদী। নদীর বয়স কত, তার কোন ইতিহাস জানা নেই। তবে এই শহরেরই মাটিরাঙা উপজেলাতে রয়েছে বয়োবৃদ্ধ এক বট বৃক্ষ। এর বয়স স্থানীয়রা বলে একশ’র বেশি। তবে এই গাছের সৌন্দর্য মনে করিয়ে দেয়,নব যৌবনা ক্ষরতা চেঙ্গীর কথাই। এবারের ঘোরাঘুরিতে এই শতায়ূ বটই ছিল আমাদের লক্ষ্য।এর সঙ্গে খাগড়াছড়ির আর সব সৌন্দর্য্যকে অবশ্য আমরা অবহেলা করিনি। বিখ্যাত আলুটিলা বা স্থানীয়রা যার নাম দিয়েছেন দেবতার গুহা তাও ছিল আমাদের ঘোরাঘুরির তালিকায়। আমাদের দলের কেউ কেউ আবার প্রথমবারের মতো খাগড়াছড়ি আসায় তাদের আগ্রহ আজব গুহার প্রতিই ছিল বেশি। সেই গুহার বর্ণনা না হয় অন্য সময় দেয়া যাবে। তবে শতায়ু বট দেখতে যাবার সময় চাইলেই এই দেবতার গুহা হয়ে যাওয়া যায়। আরগুহা ভ্রমণ শেষে খুব সহজেই বাসে চেপে চলে যেতে পারেন দশ মাইল নামের গ্রামে।
খাগড়াছড়ি শহর থেকে উত্তর পশ্চিমে মাটিরাঙা উপজেলা থেকে একটু আগেই দশ মাইল নামের এক গ্রাম। শহর থেকে দূরত্ত্ব হবে ১৩ কিলোমিটার। একটা লোকাল বাসে চেপে পৌঁছে গেলাম । কিন্তু এরপর
হাঁটা পথ। পর্যটন কেন্দ্র হিসাবে এই শতায়ূ বট এখনো খুব বেশি পরিচিত নয়। তাই ব্যক্তিগত গাড়ি না নিয়ে আসলে নির্ভর করতে হবে দু পায়ের উপর। আবার ভাগ্য ভাল থাকলে আপনি স্থানীয়দের সাহায্যে মটরসাইকেল বা সাইকেল জোগাড় করতে পারেন। তার জন্যও অপেক্ষা করতে হবে অনেকটা সময়। মটরসাইকেলে যাওয়া আসার ভাড়া পড়বে ১০০টাকা। আর যদি পায়ের উপর নির্ভর করে রওনা দেন তবে বোতল ভরে পানি নিয়েন । কারন পথে কোন চাপকল বা টিউবওয়েল নজরে পড়েনি আমাদের। খোঁজ নিয়ে জেনেছি স্থানীয়রা ঝিরির পানি খেয়ে থাকেন।
কি দেখতে যাচ্ছি ঠিক জানিনা। শুধু জেনেছি একটি বট গাছ। যাদুই একর জমির উপর। একটি গাছেরই রয়েছে দশের অধিক শাখা গাছ। এবার হাটা পথের বর্ণনাতে আসা যাক। অনেক যারা
ঘুরেছেন- রাঙামাটি , বান্দরবান অথবা দেশের গন্ডি ছাড়িয়ে প্রতিবেশি কোন দেশের শিলং বা দার্জেলিং । তাদের কে বলছি। তুলনা করলে এই হাটা পথটুকু হয়তো শুরুতেই প্রতিযোগীতা থেকে হারিয়ে যাবে। কিন্তু যদি চিত্রটা হয় এমন, হাটা পথের অনেক দূরে দূরে পাহাড়ি বাড়ি, আদিবাসী কোন ছোট শিশুর অবাক চাহনি। অথবা খুব সাদামাটা সাদা রঙ্গের কোন পাহাড়ি ফুলের এলাকা দখলের
ছবি । যেনো কেউ ইচ্ছে করেই বিয়ে বাড়ির ঢঙ্গে পুরো এলাকাটি এই ফুল দিয়ে সাজিয়েছে। আর পাহাড়ের মাঝে মাঝে ছোট ছোট জলাধার । তবে সত্যিই তা তুলনাহীন। এমনই এক অবাক করা
সুন্দরের মাঝে আমরা গিয়েছিলাম তিন কিলোমিটার। দূরে ভেসে আসছিল মন্দিরের ধ্বনি। আবার পাহাড়ের মাঝে কবরাস্থানও ছিল। তবে পথ যত পাড়ি দিচ্ছিলাম মানুষের দেখা ততোই কমছিল। মানুষের এই নিরবতা কিন্তু প্রকৃতির জন্য কাল হয়ে দাড়িয়েছে এখানে। কারন হঠাৎই নিরবতা ভেঙ্গে পথের মাঝেই দেখা মেলে ট্রাকটর বোঝাই গাছের গুড়ি। নেই কোন বারন। নেই কোন তদারকি। পাহাড়ি বা এলাকার জোদদার সকলেই কাটছেন গাছ। বিষয়টি নিয়ে উপজেলার এক মেম্বারের সঙ্গে কথা হয় আমার। সেও তার অপারগতার কথা জানায় অকোপটে। এরপর একটা উচু পাহাড় ডিঙ্গিয়ে উপরে উঠতেই চোখে পড়লো এক টুকরো বড় সবুজ মেঘ। যার পরতে পরতে রয়েছে আলোর ঝিলিক। বুঝলাম আমাদের গন্তব্য এইখানেই। শুকনো পাতা উড়িয়ে আমাদের অভ্যর্থনা জানালো এই শতায়ু বৃক্ষ। সেই সঙ্গে শোনালো কচি সবুজ পাতায় বাতাসের বাঁশি। সুনসান এলাকায় দূরে এক স্কুল ঘর। তার পাশেই এই গাছের আবাস। পুরোন এই গাছের সঙ্গে শুরু হলো আমাদের ভাব বিনিময়।
এমনিতেই পথ পাড়ি দেবার ক্লান্তি ছিল আমাদের মাঝে। তার উপর এমন রাজকিয় সম্ভাষণ।লোভ সামলাতে না পারায় গাছের নীচে মানুষের তৈরি কংক্রিটের বেঞ্চির উপর শুয়ে পড়লাম কয়জন। চোখের উপর তখন কেবলই সবুজ আকাশ। প্রায় ৫০ ফিটের ও বেশি উচু এই বট গাছের ছাদটা প্রাকৃতিক ভাবেই এমন করে তৈরি যে দেখে মনে হবে, এটি একটি বিশাল তাবু। এরমধ্যেই একটা মটরবাইক এসে হাজির । পরিচয় পাওয়া গেলো তিনি এলাকার কমিশনার। জানালেন দুই একরেরও বেশি স্থান নিয়ে ছড়িয়ে আছে এই বট গাছ। চল্লিশ উর্ধ্বো এই ব্যক্তি আমাকে বললেন তিনি তার জন্ম থেকেই এই রকম দেখছেন এই গাছটিকে। তার বাবাও দেখেছেন এমনই। বয়স শুনে বোঝা গেল ইতিহাসের এক বড় সাক্ষি এই গাছ। প্রথম বা দ্বিতীয় বিশ্ব যুদ্ধ, ইংরেজ বিরোধী সংগ্রাম কিম্বা আমাদের স্বাধীনতা যুদ্ধ কোনটাই এড়ায়নি এর নজর থেকে। সময়ের সাক্ষি এই বট স্থানীয় সকলের কাছেই একটি পবিত্র স্থান।
শতায়ূ এই বট গাছের ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা ডাল পালা থেকে যে সব লম্বা সূড় বা শিকড় বের হয়েছে তা বয়সের ভারে এখন নিজেরাই এক একটি পূর্ণাঙ্গ বট গাছ। এমনই দশের অধিক গাছ রয়েছে
এখানে। হঠাৎ করে দেখলে মনে হবে, প্রায় শ’খানেক পিলারের উপর দাড়িয়ে আছেসবুজ শান্ত এক টুকরো আকাশ। আমাদের ভ্রমণ কাল ফাল্গুণ মাস হওয়ায় গাছের পাতাও ছিল কচি। আর সেখানে বাতাস আর দুপুরের পর হেলে পড়া সূর্যের ঝিকিমিকি আলো এক মোহময় পরিবেশ তৈরি করলো। যেকোন প্রকৃতি প্রেমী এখানে একবার এলে যাবার বেলায় আর একটু সময় থেকে যাবার কথা ভাববেন। এখানে বসে ঢাকা শহরের যানজট আর ধুলোয় ভরা নগরীকে সত্যিই অবাস্তব বলে মনে হবে।
এবার আসা যাক থাকার প্রশ্নে। সকাল থেকে সন্ধ্যার ঘন্টা দু’য়েক আগ পর্যন্ত এখানে থাকতে কোন বাধা নেই। দু’ঘন্টা বলছি এই কারনে যে এরপর শহরে পৌছানোর জন্য হাঁটা শুরু করতে হবে। এখানে রাত কাটানোর জন্য খোলা আকাশ ছাড়া আর কোন ব্যবস্থা নেই। আর খাবার প্রশ্নে উত্তরটা হবে এমন যে নিজের উপর নির্ভর করুন। অর্থ্যাৎ সাথে করে যা নিয়ে যাবেন তাই খাবেন। তবে খাগড়াছড়ি শহরে থাকতে পারেন। খাগড়াছড়িতে পর্যটনের মোটেল রয়েছে। শহরে ঢোকার মুখে এই মোটেলে শহুরে আর স্থানীয় সব ধরনের খাবারই খেতে পারবেন। থাকার জন্য ঢাকা থেকে যোগাযোগ করে যাবেন। এছাড়া আলুটির উল্টো দিকেও রয়েছে আরো একটি হোটেল। যেখানে থাকা এবং খাওয়া দুটোই সম্ভব। শুক্র-শনিবার বাদ দিয়ে গেলে আগে থেকে যোগাযোগ করে যাবার দরকার নেই। আর খাগড়াছড়িশহরে তো রয়েছে বেশ কিছু ভাল হোটেল। তবে এইসব হোটেলে ওঠার সময় একটু দামাদামি করে নেয়াই ভাল। ঢাকা থেকে খাগড়াছড়ি যাবার জন্য রয়েছে অনেকগুলো নিয়মিত বাস সার্ভিস।
রাজধানীর পান্থপথ শ্যামলী অথবা কমলাপুর থেকে প্রতিদিন দিনে আর রাতে এই বাস ছাড়ে।
রাতের বাসগুলো ১১ থেকে ১২ টার মধ্যে ছেড়ে যায়। খাগড়াছড়ি থেকে ফেরার সময় কিন্তু
দুপুর দুই টার পর কোন বাস নেই।


by MM Telecom Pvt Ltd

Saturday, June 11, 2016

জ্বালানি ছাড়াই চলবে শরীফের ই-বাইক.....

জ্বালানি খরচ ছাড়াই চলবে নেত্রকোনার তরুণ
ঞ্জিনিয়ার মো. আতিকুর রহমান শরীফের পরিবেশবান্ধব
বাইক। সোলার প্যানেলের মাধ্যমে চলা নতুন ধরণের এ
বাইকের আবিস্কারক আতিকুল নেত্রকোনা শহরের
কাজী রোডের মিজানুর রহমানের ছেলে। আতিকুর
রহমান শরীফ জানান, ছোট বেলা থেকেই নতুন কিছু
আবিষ্কার করার ইচ্ছে তার। সে ইচ্ছেটাই এবার সফল
হলো। তার আবিষ্কৃত ই-বাইকটি কোন প্রকার কার্বন
ডাই অক্সাইড ছড়ায় না। শব্দও উৎপন্ন করে না। তাই
বায়ু ও শব্দ দূষণের সুযোগ নেই। শরীফ জানান,
জ্বালানি হিসেবে সোলার প্যানেলের সাহায্যে চলবে তার
এই বাইক। একবার ফুলচার্জ হলে ১২০-১২৫ কি.মি.
চালানো যাবে। যখন সৌরশক্তি থাকবে না তখন
বিদ্যুতের মাধ্যমে এটি চার্জ করা যাবে। ই-বাইকটি ঘণ্টায় ৮৫-৯০ কি.মি. গতিতে চলবে। ছোট ও পাতলা সোলার
প্যানেলগুলো একত্রে ই-বাইকের সাইড বক্সে বহন করা যাবে। সামনের চাকা হাইড্রোলিক এবং পিছনের চাকা ড্রাম
ব্রেক। একবার চার্জ করতে দুই ইউনিট বিদ্যুৎ খরচ হবে, যার মূল্য ৭ টাকা থেকে ১০ টাকা। অর্থাৎ ১০ টাকায়
চালানো যাবে ১২০ থেকে ১২৫ কিলোমিটার। আর সূর্যের আলো থাকলে তো সেটাও দরকার হবে না। ই-বাইকটি
উৎপাদন খরচ পড়বে ৬০ থেকে ৭০ হাজার টাকা l
Visit More: 24/7 live
by MM Telecom Pvt Ltd

পরিত্যক্ত প্লাষ্টিক থেকে জ্বালানি তেল উদ্ভাবন !!

প্লাষ্টিক পঁচতে শতবছর লাগে। শুধু রাজধানীতে
প্রতিদিন ১৩০ মে. টন বর্জ্য মজুত হয় যা
পরিবেশ ও মানব জীবনের জন্য মারাত্মক হুমকি।
আর পরিবেশ ও মানবজীবন রক্ষা করে এই পরিত্যক্ত
প্লাষ্টিক জাতীয় বর্জ্য পদার্থ থেকে জ্বালানি তেল উদ্ভাবন
করেছে স্কুলছাত্র মকলেসুর রহমান ইমন।
ইমন ঠাকুরগাঁও জেলার রানিশেংকেল উপজেলায়
আরজি চন্দন চহট গ্রামের রেজাউল করিম এবং মাতা
মালেকা খাতুনের ছেলে। সে দিনাজপুর জেলার
চিরিরবন্দরের আমেনা-বাকী রেসিডেন্সিয়াল মডেল স্কুল
অ্যান্ড কলেজের ৮ম শ্রেণির ছাত্র। এবার ঢাকায়
অনুষ্ঠিত ৩১ মার্চ ‘সৃজনশীল মেধা অন্বেষন ২০১৬’
প্রতিযোগিতায় ‘দৈনন্দিন বিজ্ঞান’ জুনিয়র গ্রুপে
জাতীয় পর্যায়ে সে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। পরিত্যক্ত প্লাষ্টিক জাতীয় পদার্থ থেকে জ্বালানি তেল উদ্ভাবনী বিষয়ে
চ্যাম্পিয়ন হয় ইমন। মকলেসুর রহমান ইমন ‘সৃজনশীল মেধা অন্বেষণ’ প্রতিযোগিতায় দৈনন্দিন বিজ্ঞান বিভাগ
থেকে প্রথমে জেলা এবং গত ২৪ মার্চ রংপুর বিভাগে চ্যাম্পিয়ন হয়। এরপর ৩১ মার্চ জাতীয় পর্যয়ে প্রতিযোগিতাটি
ঢাকা রেসিডেন্সিয়াল মডেল কলেজে অনুষ্ঠিত হয়। দেশের প্রতিটি বিভাগ থেকে একজন করে আসা সেরাদের
মধ্যে আমেনা-বাকী স্কুলের ছাত্র ইমন চ্যাম্পিয়ন হয়। ইমন তার প্রতিক্রিয়ায় জানান, ৫ম শ্রেণিতে অধ্যয়নকালে
নতুন কিছু করার অদম্য ইচ্ছাশক্তি তাকে আবিষ্কারের পথে এগিয়ে নিয়ে আসে। আর ৮ম শ্রেণিতে অধ্যয়নকালে
সে পরিত্যক্ত প্লাস্টিক জাতীয় পদার্থ থেকে জ্বালানি তেল উদ্ভাবন করে পেয়ে যায় স্বীকৃতি। ইমন বলেন, ‘পৃথিবীতে
প্রতিনিয়ত প্লাস্টিক বর্জ্যের পরিমাণ বেড়েই চলেছে। এই প্লাস্টিক পঁচতে ৪শ’ বছর সময় লাগে। শুধু রাজধানীতেই
প্রতিদিন ১শ’ ৩০ মে. টন বর্জ্য মজুত হয় যা আমাদের পরিবেশ ও মানবজীবনে মারাত্মক হুমকি। তাই এই প্লাস্টিক
বর্জ্যকে পুনরায় ব্যবহার করে জ্বালানি তেলে উদ্ভাবন করলে একদিকে জ্বালানি কাজে লাগানো যাবে অন্যদিকে
পরিবেশ রক্ষা করা যাবে। প্লাস্টিক থেকে জ্বালানি তেল আবিষ্কারে স্কুলের শিক্ষক, আমার সহপাঠিরা জ্বালানি
উদ্ভাবনী প্রচেষ্টার গঠন প্রণালী, কার্য প্রণালীতে ও উপকরণের বিষয়সহ সব ধরনের সহযোগিতা করেছে বলে
জানান ইমন। আমেনা-বাকী রেসিডেন্সিয়াল মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ মিজানর রহমান জানান,
'জাতীয় পর্যায়ে মকলেসুর রহমান ইমন দেশের শ্রেষ্ঠ মেধাবী হওয়ায় আমরা গর্বিত।
visit more: 24 live
by MM Telecom Pvt Ltd

ইউরোপীয়ান চ্যাম্পিয়নশিপে শনিবারের ম্যাচ

গতকাল ১০ জুন থেকে ফ্রান্সে পর্দা উঠেছে উয়েফা ইউরোপীয়ান চ্যাম্পিয়নশিপের ১৫তম আসরের।
আয়োজক ফ্রান্স রুমানিয়ার বিপক্ষে জয়ের মধ্য দিয়ে টুর্নামেন্ট শুরু করেছে।
এবারের আসরে মোট ২৪টি দেশ ৬টি গ্রুপে বিভক্ত হয়ে খেলছে।
প্রতি চার বছর অন্তর অন্তর অনুষ্ঠেয় এ টুর্নামেন্টের আজ তিনটি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে।
দিনের প্রথম ম্যাচে মুখোমুখি হবে 'এ' গ্রুপের আলবেনিয়া ও সুইজারল্যান্ড।
স্থানীয় সময় দুপুর ২টায় ম্যাচটি শুরু হবে। দ্বিতীয় ম্যাচে মুখোমুখি হবে 'বি' গ্রুপের স্লোভাকিয়া ও ওয়েলস।
স্থানীয় সময় ৫টায় ম্যাচটি শুরু হবে। আর দিনের তৃতীয় ম্যাচটি হবে 'বি' গ্রুপের অপর দুই দল ইংল্যান্ড
ও রাশিয়ার মধ্যে। স্থানীয় সময় ৮টায় ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হবে মেরসেই'র ভেলেদ্রম স্টেডিয়ামে।
উল্লেখ্য, টুর্নামেন্টের বর্তমান চ্যাম্পিয়ন স্পেন। ২০০৮ ও ২০১২ সালে অনুষ্ঠিত সর্বশেষ
২টি আসরেই জয় পেয়েছে দলটি।

visit more 24 live

by MM Telecom Pvt Ltd

Tuesday, May 31, 2016

কাল থেকে সিম নিবন্ধনে লাগবে ১৫০-২০০ টাকা !!!

আঙুলের ছাপ (বায়োমেট্রিক) পদ্ধতিতে সিম পুনর্নিবন্ধন কার্যক্রম
শেষ হচ্ছে আজ রাত ১২টায়। এ সময়ের মধ্যে যেসব সিম নিবন্ধিত হবে
না, সেগুলো কাল থেকে বন্ধ হয়ে যাবে। আর বন্ধ হয়ে যাওয়া এসব সিম
আবার চালু করতে চাইলে এখন থেকে একজন গ্রাহককে গুনতে হবে
১৫০-২০০ টাকা।
বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) সূত্রে জানা
গেছে, নির্ধারিত সময়ে সিম নিবন্ধন না করার জরিমানা হিসেবে
ব্যবহারকারীদের বাড়তি এ অর্থ দিতে হবে। তবে এ ক্ষেত্রে আগের
কঠোর অবস্থান কিছুটা শিথিল করা হয়েছে। এত দিন বিটিআরসির সিদ্ধান্ত ছিল, আগামীকাল থেকে বন্ধ
হয়ে যাওয়া সিমগুলো আগামী দুই মাস পর্যন্ত জব্দ (ফ্রিজ) অবস্থায় থাকবে। অর্থাৎ যে ব্যবহারকারী
এত দিন সিমটি ব্যবহার করে এসেছেন, তিনি আগামী দুই মাস পর্যন্ত সেটি নিবন্ধনের মাধ্যমে চালু করার
সুযোগ পাবেন না। দুই মাস সময় পার হওয়ার পর নির্ধারিত নিয়মে অর্থাৎ ১৫০-২০০ টাকা খরচ করে সিমটি
আবার চালু করা যাবে—এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল।
তবে আগের নিয়ম থেকে সরে এসে বিটিআরসি বলছে, নির্ধারিত নিয়ম অনুযায়ী নিবন্ধন সম্পন্ন করে বন্ধ
হয়ে যাওয়া সিমটি আবার চালু করা যাবে। এ জন্য দুই মাস পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে না। গতকাল সোমবার বিষয়টি মুঠোফোন অপারেটরদের জানিয়ে এ–সংক্রান্ত একটি নির্দেশনা পাঠানো হয়েছে।
বিটিআরসির সচিব ও মুখপাত্র সরওয়ার আলম প্রথম আলোকে বলেন, ‘গ্রাহক স্বার্থের কথা বিবেচনা করেই সিম নিবন্ধনের সময়সীমা এক মাস বাড়ানো হয়েছিল। সময় বাড়ানোর পরও যাঁরা সিম পুনর্নিবন্ধন করেননি, তাঁদের বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে নিজের পরিচয় নিশ্চিত করেই সিম চালু করতে হবে। এ ক্ষেত্রে বিটিআরসির নির্ধারিত নিয়ম প্রযোজ্য হবে।
বিটিআরসির নিয়ম অনুযায়ী, একটি সিম একটানা ১৮ মাস বা ৫৪০ দিন বন্ধ থাকলে সেটির মালিকানা গ্রাহকের থাকে না। এর মধ্যে ১৫ মাস বা ৪৫০ দিন সময় পার হলে মুঠোফোন অপারেটররা একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে নিষ্ক্রিয় সংযোগটি পরের ৯০ দিনের মধ্যে চালু করার জন্য গ্রাহককে অনুরোধ করে। এভাবে মোট ১৮ মাস সময়ে সিমটি চালু করা না হলে সেটির মালিকানা বর্তমান ব্যবহারকারীর থাকে না। কাল থেকে বন্ধ হতে যাওয়া সংযোগের ক্ষেত্রেও একই নিয়ম প্রযোজ্য হবে।
বর্তমানে বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে নতুন সংযোগ কিনতে অপারেটর ভেদে ১৫০ থেকে ২০০ টাকা দাম রাখা হয়। এর মধ্যে সরকার সিম কর হিসেবে ১০০ টাকা পায়। বাকি অর্থ সিমের মূল্য হিসেবে অপারেটররা পেয়ে থাকে।
বিটিআরসির হিসাব অনুযায়ী, গতকাল সোমবার পর্যন্ত ১০ কোটি ৪৮ লাখ ৬৫ হাজার সিম নিবন্ধিত হয়েছে। বর্তমানে দেশে মোট চালু থাকা সিমের সংখ্যা ১৩ কোটি ১৯ লাখ। সে হিসেবে গতকাল পর্যন্ত চালু থাকা সিমের ৭৯ শতাংশ বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে নিবন্ধিত হয়েছে ।
by MM Telecom Pvt Ltd

Monday, May 30, 2016

‘৫ মিনিটেই ভারতে হামলা চালাতে সক্ষম পাকিস্তান’

পারমাণবিক বোমা দিয়ে পাকিস্তান মাত্র পাঁচ মিনিটেই ভারতের ওপর ‘হামলা’
চালাতে সক্ষম বলে মন্তব্য করেছেন পাকিস্তানে পরমাণুবিজ্ঞানের জনক নামে খ্যাত
আবদুল কাদের খান। তিনি বলেন, পাকিস্তানের রাওয়ালপিন্ডির কাহুটা অঞ্চল থেকে
মাত্র পাঁচ মিনিটে দিল্লির ওপর হামলা চালানো সম্ভব। পিটিআইয়ের খবরে বলা হয়েছে,
গতকাল রোববার দেশটিতে পারমাণবিক বোমার পরীক্ষার ১৮তম বার্ষিকী উপলক্ষে
আয়োজিত এক সমাবেশে তিনি এ মন্তব্য করেন।
পাকিস্তান ১৯৯৮ সালে আবদুল কাদেরের তত্ত্বাবধানে প্রথম পারমাণবিক বোমার পরীক্ষা চালায়।
সেই দিনের কথা উল্লেখ করে আবদুল কাদের বলেন,
১৯৭৮ থেকে ১৯৮৮ সালের মধ্যকার সময়ে পারমাণবিক পরীক্ষার কথা ছিল।
কিন্তু পাকিস্তানের তৎকালীন প্রেসিডেন্ট জেনারেল জিয়ার
 বিরোধিতায় তা আর সম্ভব হয়নি। জিয়া মনে করতেন,
পারমাণবিক পরীক্ষা করলে বহির্বিশ্ব সামরিক হস্তক্ষেপ
চালাতে পারে এবং আন্তর্জাতিক সহায়তাও বন্ধ হয়ে যেতে পারে।
আবদুল কাদের বলেন, ‘আমার শ্রম ছাড়া পাকিস্তান কখনো বিশ্বে পারমাণবিক শক্তিসম্পন্ন প্রথম
সলিম দেশ হতো না। আমরা খুব কঠিন সময়ে এ যোগ্যতা অর্জনে সক্ষম হয়েছিলাম।’
তিনি বলেন, রাওয়ালপিন্ডি-সংলগ্ন কাহুটা অঞ্চল থেকে পাকিস্তান
মাত্র পাঁচ মিনিটে ভারতের দিল্লির ওপর হামলা চালাতে সক্ষম।
by MM Telecom Pvt Ltd

Thursday, May 12, 2016

 A Turkish hacking group has claimed to have hacked three Bangladeshi banks and leaked data in a latest incident that highlighted the vulnerabilities of the banking system.
The banks are Dutch Bangla Bank, City Bank and Trust Bank. The group also hacked two other banks from Nepal -- Business Universal Development Bank and Sanima Bank, according to US-based Data Breach Today.com, a website that provides news on data breach detection, notification and prevention.
However, officials of the Bangladeshi banks said that no customer credentials were compromised. The hackers did not make any financial demand.
Links to the file archives containing data from all the three banks have been posted from a Twitter account supposedly operated by Turkish hacking group Bozkurtlar or Grey Wolves. The group is known to be one of Turkey's national extremist movements.
The size of the file archives posted was 11.2MB for City Bank, and 312KB and 95KB for DBBL and Trust Bank respectively, according to Data Breach Today.
However, information whether the hackers stole money from any of the affected banks was not available.
Preliminary analysis shows that each of the zip files contains at least some customer information or account credentials, said Data Breach Today.
A primary researcher in this case, who requested anonymity, says that the data posted for each of the banks appears to be old -- the latest being from City Bank dates to August 2015. This, he says, raises a question about whether the leaks are the result of recent breaches, as claimed by Bozkurtlar, or if the group has simple aggregated data from older incidents and posted it.
In case of Dutch Bangla Bank, the 312 KB archive appears to contain records of customer banking transactions -- either physical or internet banking.
In case of Trust Bank, the file contains two spreadsheets that, among other things, contain user ID, email, username and encrypted passwords. The latest file is from June 2015.
In case of City Bank, the 11.2 MB dump has a single spreadsheet, which appears to contain the personal information of at least 1 million bank customers. Details include: full name, father's name, mother name, date of birth, age, mailing address, contact number, permanent address and email. The most recent data is from August 2015.
When contacted, Mashrur Arefin, additional managing director of City Bank, said the entire thing is very murky to the bank, and the bank was investigating the claims.
“We still believe that it is a hoax. We have been told so by the data hacking detection expert we are working with. As of yet, we have not any idea whether it is hacking or not.”
“So far, the samples we have checked, only two or three percent are our customers. The rest 97-98 percent of the names are unknown to us. We are actually putting it in the hands of experts.”
“City Bank has checked 58 data and only found two as its customers.”
He however admitted that the dumping of the data shows the vulnerability of Bangladesh's banking system.
Arefin also said the bank's Indian consultant told the bank that it has become a daily affair in India. “They make a hue and cry about data leaks and are making opportunities for a number of consulting firms to do business.”
The news of the data leaks came three months after Bangladesh Bank lost $81 million in the biggest ever banking heist in history. Investigators are yet to catch the perpetrators.
Abul Kashem Md Shirin, deputy managing director of Dutch-Bangla Bank, rejected the hacking claim as baseless.
He said the bank's customer data have not been stolen.
The data which have been dumped online are already published data and contain the locations or names of branches and ATMs, he said. “They have taken the data and posted on their website.”
He said the bank's published ATM monitoring data, which are available with the bank's vendors, were shown as leaked.
Akram Sayeed, head of IT of Trust Bank, also said information relating to the bank was not correct.
“Secondly, our customers are not facing any risk, as their information, our database and data have all remained well-protected.”
He said these claims might have been made to create panic.
The Turkish hacking group has taken credit for the recent attacks on Qatar National Bank and UAE's InvestBank.
 by MM Telecom Pvt Ltd

ঢাকা দক্ষিণ সিটির ৫০ স্থানে বিনামূল্যে WiFi


ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের (ডিএসসিসি) ৫০টি গুরুত্বপূর্ণ স্থানে ফ্রি ওয়াইফাই জোন ঘোষণা করেছেন ডিএসসিসি মেয়র সাঈদ খোকন। এসব এলাকায় নগরবাসী কোনো প্রকার পাসওয়ার্ড ছাড়া ওয়াইফাই সুবিধা ভোগ করতে পারবেন।  আগামী ছয় মাসের মধ্যে এ সুবিধা পাওয়া শুরু করবেন নগরবাসী। পর্যায়ক্রমে ডিএসসিসির প্রত্যেকটি ওয়ার্ডে বিনামূল্যে ওয়াইফাই সুবিধা চালু করা হবে। এ কাজে সহযোগিতা করবে বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন্স কোম্পানি লিমিটেড (বিটিসিএল)।  বৃহস্পতিবার রাজধানীর লালবাগ কেল্লা এলাকায় ফ্রি ওয়াইফাই সেবা উদ্বোধনের সময় মেয়র এ ঘোষণা দেন।  এ সময় ডিএসসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা খান মোহা বিলাল, বিটিসিএল-এর  ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফকরুদ্দিন আহমদ, ওয়ার্ড কাউন্সিলর দেলোয়ার হোসেন, হুমায়ুন কবির, হাসিবুর রহমান মানিক, মোশাররফ হোসেন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। পরে মেয়র নয়াবাজারে অবস্থিত ঢাকা মহানগর জেনারেল হাসপাতাল প্রাঙ্গণে এক পরিচ্ছন্নতা অভিযানে অংশ নেন।  যেসব স্থানে ওয়াইফাই চালু হবে: ধানমন্ডির বঙ্গবন্ধু জাদুঘর, বঙ্গবন্ধু এভিনিউ, রাসেল স্কয়ার, কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার, অপরাজেয় বাংলা, আহসান মঞ্জিল, লালবাগ কেল্লা, কার্জন হল, কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন, বাহাদুরশাহ পার্ক, ওসমানী উদ্যান, রমনা পার্ক, বলদা গার্ডেন, কেন্দ্রীয় শিশুপার্ক, ধানমন্ডি লেক, মহানগর নাট্যমঞ্চ, সায়েন্স অ্যানেক্স ভবন, নগর ভবন, ডিএসসিসি জোন-২, জোন-৩, জোন-৫, সায়েদাবাদ বাস টার্মিনাল, ফুলবাড়িয়া বাস টার্মিনাল, সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনাল, ঢাকা মহানগর জেনারেল হাসপাতাল, ঢাকা মহানগর শিশু হাসপাতাল, নাজিরাবাজার মাতৃসদন, নিউমার্কেট, মেয়র মোহাম্মদ হানিফ কমিউনিটি সেন্টার, সেগুনবাগিচা কমিউনিটি সেন্টার, ধানমন্ডি ভহৃতের গলি কমিউনিটি সেন্টার, বাসাবো কমিউনিটি সেন্টার, কাজী বশির  মিলনায়তন, পল্টন কমিউনিটি সেন্টার, নবাবগঞ্জ সাত শহীদ কমিউনিটি সেন্টার, হাজী গোলাম মোর্শেদ কমিউনিটি সেন্টার, হাজী খলিল সরদার কমিউনিটি সেন্টার, আজিমপুর মিনি কমিউনিটি সেন্টার, হাজী জুম্মন কমিউনিটি সেন্টার, ফজলুল করিম কমিউনিটি সেন্টার, নর্থব্রুক হল লাইব্রেরি, বীর মুক্তিযোদ্ধা সাদেক হোসেন খোকা কমিউনিটি সেন্টার, মাজেদ সরদার কমিউনিটি সেন্টার, সূত্রাপুর কমিউনিটি সেন্টার, ধলপুর কমিউনিটি সেন্টার, ফকিরচাঁদ কমিউনিটি সেন্টার, শরাফতগঞ্জ কমিউনিটি সেন্টার, যাত্রাবাড়ী কমিউনিটি সেন্টার এবং জহির রায়হান সাংস্কৃতিক কেন্দ্র।
ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের (ডিএসসিসি) ৫০টি গুরুত্বপূর্ণ স্থানে ফ্রি ওয়াইফাই জোন ঘোষণা করেছেন ডিএসসিসি মেয়র সাঈদ খোকন। এসব এলাকায় নগরবাসী কোনো প্রকার পাসওয়ার্ড ছাড়া ওয়াইফাই সুবিধা ভোগ করতে পারবেন।

আগামী ছয় মাসের মধ্যে এ সুবিধা পাওয়া শুরু করবেন নগরবাসী। পর্যায়ক্রমে ডিএসসিসির প্রত্যেকটি ওয়ার্ডে বিনামূল্যে ওয়াইফাই সুবিধা চালু করা হবে। এ কাজে সহযোগিতা করবে বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন্স কোম্পানি লিমিটেড (বিটিসিএল)।

বৃহস্পতিবার রাজধানীর লালবাগ কেল্লা এলাকায় ফ্রি ওয়াইফাই সেবা উদ্বোধনের সময় মেয়র এ ঘোষণা দেন।

এ সময় ডিএসসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা খান মোহা বিলাল, বিটিসিএল-এর  ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফকরুদ্দিন আহমদ, ওয়ার্ড কাউন্সিলর দেলোয়ার হোসেন, হুমায়ুন কবির, হাসিবুর রহমান মানিক, মোশাররফ হোসেন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। পরে মেয়র নয়াবাজারে অবস্থিত ঢাকা মহানগর জেনারেল হাসপাতাল প্রাঙ্গণে এক পরিচ্ছন্নতা অভিযানে অংশ নেন।

যেসব স্থানে ওয়াইফাই চালু হবে: ধানমন্ডির বঙ্গবন্ধু জাদুঘর, বঙ্গবন্ধু এভিনিউ, রাসেল স্কয়ার, কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার, অপরাজেয় বাংলা, আহসান মঞ্জিল, লালবাগ কেল্লা, কার্জন হল, কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন, বাহাদুরশাহ পার্ক, ওসমানী উদ্যান, রমনা পার্ক, বলদা গার্ডেন, কেন্দ্রীয় শিশুপার্ক, ধানমন্ডি লেক, মহানগর নাট্যমঞ্চ, সায়েন্স অ্যানেক্স ভবন, নগর ভবন, ডিএসসিসি জোন-২, জোন-৩, জোন-৫, সায়েদাবাদ বাস টার্মিনাল, ফুলবাড়িয়া বাস টার্মিনাল, সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনাল, ঢাকা মহানগর জেনারেল হাসপাতাল, ঢাকা মহানগর শিশু হাসপাতাল, নাজিরাবাজার মাতৃসদন, নিউমার্কেট, মেয়র মোহাম্মদ হানিফ কমিউনিটি সেন্টার, সেগুনবাগিচা কমিউনিটি সেন্টার, ধানমন্ডি ভহৃতের গলি কমিউনিটি সেন্টার, বাসাবো কমিউনিটি সেন্টার, কাজী বশির  মিলনায়তন, পল্টন কমিউনিটি সেন্টার, নবাবগঞ্জ সাত শহীদ কমিউনিটি সেন্টার, হাজী গোলাম মোর্শেদ কমিউনিটি সেন্টার, হাজী খলিল সরদার কমিউনিটি সেন্টার, আজিমপুর মিনি কমিউনিটি সেন্টার, হাজী জুম্মন কমিউনিটি সেন্টার, ফজলুল করিম কমিউনিটি সেন্টার, নর্থব্রুক হল লাইব্রেরি, বীর মুক্তিযোদ্ধা সাদেক হোসেন খোকা কমিউনিটি সেন্টার, মাজেদ সরদার কমিউনিটি সেন্টার, সূত্রাপুর কমিউনিটি সেন্টার, ধলপুর কমিউনিটি সেন্টার, ফকিরচাঁদ কমিউনিটি সেন্টার, শরাফতগঞ্জ কমিউনিটি সেন্টার, যাত্রাবাড়ী কমিউনিটি সেন্টার এবং জহির রায়হান সাংস্কৃতিক কেন্দ্র। - See more at: http://bangla.samakal.net/2016/05/12/211726#sthash.eRL9gUpi.dpuf

by MM Telecom Pvt Ltd

বাংলাদেশঃ বজ্রপাতে প্রাণ গেল ৩২ জনের......!

বজ্রপাতে আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীসহ ১১ জেলায় ৩২ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে রাজধানীর যাত্রবাড়ীতে দুজন এবং পাবনা, সিরাজগঞ্জ ও রাজশাহীতে পাঁচজন করে মারা গেছেন। কিশোরগঞ্জে মৃত্যু হয়েছে চারজনের।
ঢাকা: যাত্রাবাড়ীর কাঠেরপুল এলাকায় বিকেলে বজ্রপাতে দুই যুবক মারা গেছেন। তাঁরা হলেন শাহেদ সোহাগ (২৪) ও নোমান হাসান (২২)। এ ছাড়া এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও অন্তত পাঁচজন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, বিকেলে বৃষ্টির সময় যাত্রাবাড়ীর কাঠেরপুল এলাকার বালুর মাঠে ফুটবল খেলছিলেন কয়েকজন যুবক। হঠাৎ বজ্রপাতে যুবকদের মধ্যে আট থেকে ১০ জন আহত হন। গুরুতর অবস্থায় তিনজনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আনা হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক শাহেদ ও নোমানকে মৃত ঘোষণা করেন। আহত অন্যজন হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। তাঁর নাম রাইয়ান (১৯)। তবে তিনি আশঙ্কামুক্ত বলে চিকিৎসক জানিয়েছেন। বাকিরা প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন।
নিহত শাহেদ আহসানউল্লাহ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে এবং নোমান তেজগাঁও পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের ছাত্র ছিলেন। তাঁদের একজনের বাড়ি যাত্রাবাড়ীর দক্ষিণ কাজলায়, অন্যজনের বাড়ি যাত্রাবাড়ীর সাইনবোর্ড এলাকায়।
যাত্রাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনিসুর রহমান এ ঘটনা নিশ্চিত করেছেন।
সিরাজগঞ্জ: সিরাজগঞ্জে বজ্রপাতে পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে রায়গঞ্জ উপজেলায় তিনজন ও উল্লাপাড়া উপজেলায় দুজন মারা যান। রায়গঞ্জ উপজেলায় মৃত ব্যক্তিরা হলেন: মোতালেব (৪০), আনোয়ার (৩৫) ও শিশু নুপুর (৮)। উল্লাপাড়ায় মারা গেছেন আবদুল লতিফ (৩৫) ও খোকন (৫০)।
রায়গঞ্জ বড়পাঙ্গাসি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবদুস সালাম ও উল্লাপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দেওয়ান কৌশিক আহমেদ বজ্রপাতে মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
বগুড়া: বগুড়ার শেরপুরে বজ্রপাতে দুজনের মৃত্যু হয়েছে। তাঁরা হলেন: উপজেলার সীমাবাড়ী ইউনিয়নের বেতগাড়ী গ্রামের আনোয়ার হোসেন (৪০) ও বেটখৈর গ্রামের ছখিনা খাতুন (৫৫)। সীমাবাড়ী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আফতাব উদ্দিন তালুকদার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
রাজশাহী: মোহনপুর, গোদাগাড়ী ও দুর্গাপুর উপজেলায় বজ্রপাতে পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। তাঁরা হলেন, মোহনপুর উপজেলার আতা নারায়ণপুর গ্রামের আবদুর রাজ্জাক (২৮), হতাতৈড় গ্রামের আবদুল আজিজ (৫০) ও ডাঙ্গাপাড়া গ্রামের শ্রী সৈত চন্দ্র (৩০), গোদাগাড়ী উপজেলার গুসিরা গ্রামের লাইলী বেগম (৪০) ও দুর্গাপুর উপজেলার পালশা খামারুপাড়া এলাকার মর্জিনা বেগম (৪০)।
মোহনপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আলমগীর কবির বজ্রপাতে তাঁর এলাকার তিন ব্যক্তি নিহত হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
পাবনা: পাবনার সুজানগর ও চাটমোহরে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বজ্রপাতে পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় আহত হন আরও ৪ জন।
মৃত ব্যক্তিরা হলেন, সুজানগর উপজেলার রানিনগর গ্রামের মইন উদ্দিন (৭০), তাঁর নাতনি শিখা খতুন (১২), একই উপজেলার আহম্মদপুর গ্রামের শহিদ হোসেন (৫০), চাটমোহর উপজেলার মল্লিক বাইন গ্রামের ফজলুর রহমান (৪০) ও ছকির উদ্দিন (৭০)
সুজানগর উপজেলার আমিনপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তাজুল হুদা প্রথম আলোকে বলেন, আমরা তিনজনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত হতে পেরেছি।
চাটমোহর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুব্রত কুমার ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে প্রথম আলোকে বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে।
পিরোজপুর: মঠবাড়িয়া উপজেলার বড়হারজী গ্রামে বিকেলে বজ্রপাতে মো. ইউনুস সিকদার (৫০) নামের একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় আয়শা বেগম (৪০) নামের এক গৃহবধূ দগ্ধ হন।
ইউনুস সিকদারের বাড়ি উপজেলার বড়হাজরী গ্রামে। আয়েশা বেগম ইউনুস সিকদারের বড় ভাই কুদ্দুস সিকদারের স্ত্রী। স্থানীয়রা জানান, আজ বিকেলে হঠাৎ বৃষ্টি শুরু হলে ইউনুস সিকদার ও তাঁর ভাইয়ের স্ত্রী আয়শা বেগম বাড়ির সামনের মাঠ থেকে গরু আনতে যান। এ সময় বজ্রপাতে ইউনুস সিকদার ঘটনাস্থলে মারা যান ও আয়শা বেগম দগ্ধ হন। গুরুতর দগ্ধ আয়শা বেগমকে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স পরে বরিশাল শের ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
মঠবাড়িয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা মো. মনিরুজ্জামান এ খবরের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া: ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুর উপজেলায় আজ দুপুর ১২টার দিকে বজ্রপাতে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। ওই তিনজন হলেন: উপজেলার চরশিবপুর গ্রামের সফিকুল ইসলাম, ইছাপুর গ্রামের সামছুল ইসলাম ও কানাইনগর গ্রামের কবির হোসেন।
বাঞ্ছারামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) অংশু কুমার দেব ওই তিনজনের মৃত্যুর সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
গাজীপুর: কাপাসিয়া উপজেলার উত্তরখামের গ্রামে বিকেলে বজ্রপাতে দুজনের মৃত্যু হয়েছে। ওই দুজন হলেন: কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী উপজেলার সাতান্না গ্রামের মো. সাত্তার আলী (২৬) এবং কাপাসিয়ার খিরাটি গ্রামের কাজল মিয়ার স্ত্রী রুবিনা (৪০)।
কাপাসিয়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. শাহজাহান বলেন, সাত্তার আলী উত্তরখামের গ্রামে জমিতে ধান কাটছিলেন। এ সময় বজ্রপাতে ঘটনাস্থলেই তিনি মারা যান। অপরদিকে গৃহবধূ রুবিনা মাঠ থেকে গরু নিয়ে ফেরার পথে বজ্রপাতে ঘটনাস্থলেই মারা যান।
নেত্রকোনা: কেন্দুয়া উপজেলার আশুজিয়া ইউনিয়নে বজ্রপাতে রইছ উদ্দিন (৫০) নামের এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে।
আশুজিয়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
কিশোরগঞ্জ: বজ্রপাতে হোসেনপুর উপজেলায় শরিফুল ইসলাম (১৮) নামের এক তরুণ, বাজিতপুর উপজেলার দিলালপুর ইউনিয়নের বাহেরনগর গ্রামের স্বপন মিয়া (১৯), পিরিজপুর ইউনিয়নের কইকুরী গ্রামের রিজিয়া বেগম (৫২) ও তাড়াইল উপজেলার জাওয়ার ইউনিয়নের ইশাবশর গ্রামের মমতা বেগম (৪৪) মৃত্যু হয়েছে।
হোসেনপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নান্নু মোল্লা, তাড়াইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খন্দকার শওকত জাহান, দিলালপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান গোলাম কিবরিয়া ও পিরিজপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাফর ইকবাল বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
নাটোর: নাটোরের লালপুর উপজেলার চারটি পৃথক স্থানে বজ্রপাতে এক নারীসহ দুইজন নিহত ও দুইজন আহত হয়েছে।
লালপুর থানা সূত্রে জানা যায়, বৃহষ্পতিবার সন্ধার আগমুহুর্তে লালপুর উপজেলার উপর দিয়ে কালবৈশাখী ঝড় ও বজ্রপাতসহ বৃষ্টি হয়। এ সময় আম কুড়াতে গিয়ে উপজেলার রঘুনাথপুর গ্রামের মোবারক হোসেন (২৪) ও উত্তর লালপুর গ্রামের সাহারা বানু নিহত হন। এছাড়া কাজিপাড়া গ্রামের সাজেদুর রহমান ও মহরকয়া গ্রামের পাপিয়া খাতুন আহত হন। আহতদের লালপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। লালপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুল হাই তালুকদার ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
by MM Telecom Pvt Ltd

Tuesday, May 10, 2016

'Nizami didn’t ask mercy, order to hang given'

Policemen holding a perimeter around Dhaka Central Jail, where death row war criminal Motiur Rahman Nizami is being kept.

Dhaka Central Jail authorities have been given the order to execute death row war criminal Motiur Rahman Nizami, Home Minister Asaduzzaman Khan has said.
“He did not seek mercy from the president,” the minister told The Daily Star at 8:58pm this evening. “The order for his execution has been given.”

The minister’s comment came at a time when Nizami’s family was in a meeting with the death row convict at Dhaka Central Jail amid heightened security measures in the area.
The family went to visit Dhaka jail within hours after the prison authorities granted them permission for a meeting. A total of 24 family members entered the jail around 7:50pm.

Yesterday, the Supreme Court’s full verdict, that scrapped Nizami’s review petition against death, reached Dhaka jail. It was read out to the condemned war criminal around 8:00pm.
 by MM Telecom Pvt Ltd

এক ভোটে ৮৪ খুন

আওয়ামী লীগের ৪৫, বিএনপির , অন্যান্য ৩৬, এর মধ্যে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর গুলিতে নিহত ১৫, গুলিবিদ্ধসহ আহত হাজার









চার ধাপে ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে পর্যন্ত প্রাণ গেছে ৮৪ জনের এদের ৪৫ জনই আওয়ামী লীগ সমর্থক বিএনপির সমর্থক জন তা ছাড়া ইউপি সাধারণ সদস্যসহ ভোটার মারা গেছেন ৩৬ জন তাদের বড় অংশেরই রাজনৈতিক পরিচয় পাওয়া যায়নি এর মধ্যে মহিলা শিশুও রয়েছে চার দফা ভোটে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর গুলিতে মারা যান ১৫ জন বাংলাদেশ প্রতিদিনের অনুসন্ধানে এসব তথ্য পাওয়া গেছে ইউপি ভোটকে কেন্দ্র করে মৃত্যুর ঘটনার কোনোটিরই এখন পর্যন্ত তদন্ত শুরু হয়নি এসব ঘটনায় নির্বাচন কমিশনওনিশ্চুপরয়েছে স্থানীয় পুলিশ প্রশাসনওনিষ্ক্রিয়ভূমিকা পালন করছে কোনো পক্ষই দায় নিচ্ছে না ইউপি নির্বাচনের সহিংসতা পর্যালোচনা করে দেখা যায়, প্রথম ধাপের তফসিল ঘোষণার পর থেকে পর্যন্ত নির্বাচনের আগে-পরে নির্বাচনের সময় সংঘর্ষ হয় নির্বাচনকেন্দ্রিক বিরোধের পরিণামেই ৮৪ জনের প্রাণহানি ঘটে আহত হন কমপক্ষে হাজার প্রাণহানির তথ্য পর্যালোচনা করে আরও দেখা যায়, প্রথম ধাপের নির্বাচনের আগে ১০ জন, প্রথম ধাপের নির্বাচনের দিন ১১ জন, প্রথম ধাপের নির্বাচনের পর থেকে দ্বিতীয় ধাপের নির্বাচনের আগ পর্যন্ত ১১ জন, দ্বিতীয় ধাপের নির্বাচনের দিন জন, দ্বিতীয় ধাপের নির্বাচনের পর থেকে তৃতীয় ধাপের নির্বাচনের আগ পর্যন্ত ১৭ জন এবং তৃতীয় ধাপের নির্বাচনের দিন জন মারা যান ছাড়া তৃতীয় ধাপের নির্বাচনের পর দিন থেকে গতকাল পর্যন্ত সহিংসতায় ২০ জনের মৃত্যু হয়
স্থানীয় সরকার পর্যবেক্ষকরা বলছেন, প্রতিটি ঘটনারই সুষ্ঠু তদন্ত হওয়া উচিত। যে বা যারাই দোষী হোন না কেন, তাদের বিচারের মুখোমুখি করাতে হবে। নইলে সামনের সব নির্বাচনেই ঘটনার মাত্রা আরও বাড়তে থাকবে। বিশেষ করে পূর্বশত্রুতার জেরও নির্বাচনে প্রভাব ফেলতে পারে। সরকার নির্বাচন কমিশনকে সক্রিয় ভূমিকা পালন করতে হবে। এভাবে চলতে থাকলে আগামীতে নির্বাচনী সংস্কৃতি গণতন্ত্রে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে
ইউপি নির্বাচনে সহিংসতার দায় ব্যক্তিদ্বন্দ্বের ওপর চাপিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, ‘দেশের বিভিন্ন স্থানে যেসব সংঘর্ষ হামলা ঘটেছে তা রাজনৈতিক দ্বন্দ্বে নয়, ব্যক্তিগত দ্বন্দ্বে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীও ঠিকমতোই দায়িত্ব পালন করেছে। প্রসঙ্গে নির্বাচন কমিশনার মো. শাহনেওয়াজ গতকাল বিকালে বাংলাদেশে প্রতিদিনকে বলেন, ‘নির্বাচনী সহিংসতার পেছনে কারও গাফিলতি রয়েছে কিনা খতিয়ে দেখব আমরা। ছাড়া কেন সহিংসতা হলো তা সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগ দেখবে।তবে সাবেক নির্বাচন কমিশনার মুহাম্মদ ছহুল হোসাইন বলেন, ‘ইউপি নির্বাচনে সহিংসতার দায় কেউ নিচ্ছে না। কিন্তু এভাবে নির্বাচনের নামে সহিংসতা অনিয়ম চলতে পারে না।স্থানীয় সরকার বিশেষজ্ঞ . তোফায়েল আহমেদ বলেন, ‘৮৪ জনের প্রাণহানি ঘটল, সরকার নির্বাচন কমিশন নিশ্চুপ। কেউই কোনো দায়িত্ব নিচ্ছে না। যুক্তরাষ্ট্রের একজন নাগরিকের ব্যাপারে সরকার যত তত্পর, অথচ দেশে এতগুলো মানুষ মারা গেল তা নিয়ে তাদের কোনো চিন্তাভাবনাই নেই। আমি মনে করি, প্রতিটি মৃত্যুরই সুষ্ঠু তদন্ত করে বিচার হওয়া উচিত। নইলে এভাবে মানুষ মারা গেলে, দুর্বৃত্তরা আরও উৎসাহিত হবে। যেহেতু নির্বাচন কমিশনের দায়িত্বে স্থানীয় সরকারের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে, তাই তাদের চুপ থাকলে চলবে না। আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে প্রশাসনকে নির্দেশ দিতে হবে।ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকে ঘিরে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি থেকেই রাজনৈতিক উত্তাপ দেখা যায়। প্রথম ধাপের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় ২২ মার্চ। বাংলাদেশ প্রতিদিনের নিজস্ব অনুসন্ধান ছাড়াও ইউনিয়ন পরিষদ নিয়ে কাজ করা নির্বাচন পর্যবেক্ষক সংস্থা সুশাসনের জন্য নাগরিকসুজন ব্রতীর প্রাথমিক প্রতিবেদনে সহিংসতা হতাহতের চিত্র উঠে এসেছে
২৩ ফেব্রুয়ারি বরগুনার আমতলীর হলদিয়া ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের প্রার্থীর সঙ্গে নিজ দলীয় বিদ্রোহী প্রার্থীর সংঘর্ষে নিহত বশির উদ্দিন আওয়ামী লীগ সমর্থক ছিলেন। মার্চ পটুয়াখালীর বাউফলের আদাবাড়িয়া ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের প্রার্থীর সঙ্গে দলীয় বিদ্রোহী প্রার্থীর সমর্থকের সংঘর্ষে আশরাফ ফকির নামে এক আওয়ামী লীগ কর্মী এবং মার্চ পিরোজপুরের নাজিরপুরে আওয়ামী লীগ-বিএনপির সংঘর্ষে শামসুল হক নামে একজন বিএনপি কর্মী নিহত হন। ১০ মার্চ ভোলা সদরের চর সামাইয়া ইউনিয়নে দুই ইউপি সদস্যের সমর্থকের সংঘর্ষে নিহত হন সিরাজুল ইসলাম। ১৩ মার্চ কিশোরগঞ্জের মহিন্দর ইউনিয়নে দুই মেম্বার প্রার্থীর সমর্থকের সংঘর্ষে সোহেল মিয়া নিহত হন। ১৪ মার্চ বগুড়ার শিবগঞ্জের বুড়িগঞ্জ ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ-বিএনপির চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকের সংঘর্ষে নিহত হন মাহতাব আলী, যিনি এলাকায় আওয়ামী লীগ সমর্থক বলে পরিচিত
১৬ মার্চ বরিশালের মেহেন্দীগঞ্জের ভাসানচর ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের চেয়ারম্যান প্রার্থী বিদ্রোহী প্রার্থীর সমর্থকের সংঘর্ষে নিহত হন সমীর চারু। তিনি আওয়ামী লীগ সমর্থক। ১৭ মার্চ যশোরের মনিরামপুরের চালুয়াহাটি ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের চেয়ারম্যান প্রার্থী দলীয় বিদ্রোহী প্রার্থীর সমর্থকের সংঘর্ষে মনসুর আলী নামে একজন নিহত হন। তিনিও আওয়ামী লীগ সমর্থক। ১৮ মার্চ পাবনার বেড়ার ঢালাইচর ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের চেয়ারম্যান প্রার্থীর সঙ্গে দলীয় বিদ্রোহী প্রার্থীর সমর্থকের সংঘর্ষে গহের উদ্দিন নামে একজন আওয়ামী লীগ সমর্থক নিহত হন। ২০ মার্চ বান্দরবানের রুমার গ্যালাইঙ্গা ইউনিয়নে জেএসএসের সঙ্গে অজ্ঞাতনামা একটি পক্ষের সংঘর্ষে জেএসএসের সম্ভাব্য চেয়ারম্যান প্রার্থী শান্তিহা নিহত হন
প্রথম ধাপে ২২ মার্চ ইউপি নির্বাচনের দিন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর গুলিতে পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ার ধানিসাফা ইউনিয়নের মোহাম্মদ সোহেল, শাহাদাত হোসেন, কামরুল মৃধা, বেলাল সোলাইমান নামে একসঙ্গে জন নিহত হন। তারা সবাই আওয়ামী লীগের সমর্থক ছিলেন। একই দিনে কক্সবাজারের টেকনাফের সাবরাং ইউনিয়নে দুই ইউপি সদস্যের সমর্থকের সংঘর্ষে শফিকুল আলম নামে একজন নিহত হন। একই ইউনিয়নে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর গুলিতে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থীর ভাই আবদুল গফুর নামে একজন নিহত হন
ঝালকাঠি সদরের নবগ্রাম ইউনিয়নে দুই ইউপি সদস্যের সমর্থকের সংঘর্ষে কাশেম শিকদার নামে একজন নিহত হন। সিরাজগঞ্জ সদরের জয়ানপুর ইউনিয়নে দুই ইউপি সদস্যের সমর্থকের মারামারিতে পদদলিত হয়ে নওনাই বেগম নামে এক মেম্বার প্রার্থীর মা মারা যান। পটুয়াখালীর কালিশুরী ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের প্রার্থীর সঙ্গে বিদ্রোহী প্রার্থীর সমর্থকের সংঘর্ষে হুমায়ুন মালিক নামে একজন নিহত হন। তিনি বিদ্রোহী প্রার্থীর সমর্থক ছিলেন। নেত্রকোনোর খালিয়াজুরি ইউনিয়নে পুলিশের গুলিতে আওয়ামী লীগের চেয়ারম্যান প্রার্থীর ভাই আবু কাউসার নিহত হন
২৩ মার্চ বগুড়ার সারিয়াকান্দির বোহাইল ইউনিয়নে নির্বাচনোত্তর সহিংসতায় আওয়ামী লগি সমর্থক জাবেদ আলী নিহত হন। একই দিনে চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে বারৈয়াঢালা ইউনিয়নে নির্বাচনী সভা শেষে বাড়ি ফেরার পথে হামলায় নিয়াজউদ্দিন নয়ন নামে এক যুবলীগ নেতা নিহত হন। কক্সবাজারের টেকনাফের সাবরাং ইউনিয়নে ভোটের দিন পুলিশের সঙ্গে এক ইউপি সদস্যের সমর্থকদের সংঘর্ষ হয়। ব্যালটবক্স ছিনতাইয়ের সময় পুলিশ গুলি ছোড়ে। ওইদিন মনির আহমেদ নামে গুলিবিদ্ধ যুবক ২৩ মার্চ চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান
২৪ মার্চ পটুয়াখালীর দশমিনার বহরমপুর ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ বিএনপির চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকের সংঘর্ষে শাহজাহান মৃধা নিহত হন। এলাকায় তিনি বিএনপি সমর্থক বলে পরিচিত ছিলেন। একই দিনে ঢাকার কেরানীগঞ্জের বিলাসপুর ইউনিয়নে এক ইউপি সদস্যের বিজয় মিছিলে হামলা হলে মেম্বার প্রার্থীর বড় ভাই জালাল মাতবর নিহত হন। ২৫ মার্চ ময়মনসিংহের ফুলপুরের ভাইটকান্দি ইউনিয়নে পরাজিত ইউপি সদস্যের হামলায় ইদ্রিস আলী নামে একজন গ্রাম পুলিশ নিহত হন। ২৭ মার্চ গাজীপুরের কালিগঞ্জে জামালপুর ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ চেয়ারম্যান প্রার্থীর হামলায় বিদ্রোহী প্রার্থীর কর্মী চিত্তরঞ্জন শীল নিহত হন
২৮ মার্চ ময়মনসিংহের গৌরীপুরে মিছিল থেকে ফেরার পথে নাছির সরদার নামে একজন স্বতন্ত্র প্রার্থীর কর্মী নিহত হন। ৩০ মার্চ যশোর সদরের লেবুতলা ইউনিয়নে সবুজ ইবাদুল ইসলাম নামে দুজন আওয়ামী লীগ চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থক নিহত হন। তারা দ্বিতীয় ধাপের নির্বাচনের আগের রাতে বোমা তৈরির সময় বিস্ফোরণে নিহত হন। ৩১ মার্চ দ্বিতীয় ধাপের নির্বাচনের দিন কেরানিগঞ্জের হযরতপুর ইউনিয়নে মধুরচর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোট কেন্দ্রের কাছে গুলিবিদ্ধ হয়ে কাজী শুভ নামে এক শিশু মারা যায়। যশোর সদরের চাঁচড়া ইউনিয়নে দুই ইউপি সদস্যের গোলাগুলিতে আবদুস সাত্তার বিশে নামে এক ফেরিওয়ালা নিহত হন। জামালপুরের মেলান্দহে ইউপি সদস্যের হামলায় রকিবুল ইসলাম নামে এক মেম্বারের সমর্থক নিহত হন। মানিকগঞ্জের দৌলতপুরের বাঘুটিয়া ইউনিয়নে এক ইউপি সদস্যের বিজয় মিছিল থেকে হামলা চালানো হলে নমেছা বেগম নামে পরাজিত প্রার্থীর এক কর্মীর স্ত্রী নিহত হন। মাদারীপুর সদরের ধুরইল ইউনিয়নে দুই পক্ষের সংঘর্ষে পুলিশের গুলিতে সুজন মৃধা নামে একজন নিহত হন। চট্টগ্রামের সন্দ্বীপের বাউরিয়া ইউনিয়নে দুই ইউপি সদস্যের সমর্থকরা ভোট কেন্দ্র দখলের চেষ্টা চালান। সময় পুলিশ গুলি করলে ঘটনাস্থলেই সানাউল, ইব্রাহিম জামাল নামে তিনজন নিহত হন
দ্বিতীয় ধাপের নির্বাচনের পর এপ্রিল মাদারীপুর সদরের কুনিয়া ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ বিদ্রোহী প্রার্থীর সমর্থকদের হামলায় সাবেক চেয়ারম্যান আওয়ামী লীগ নেতার ছেলে হাসান বেপারী নিহত হন। একই দিন যশোর সদরের শেখহাটি ইউনিয়নে বিএনপির চেয়ারম্যান প্রার্থীর বাড়িতে আওয়ামী লীগ চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের হামলা গুলিতে ইকবাল হোসেন নামে এক মাংস ব্যবসায়ী নিহত হন। তিনি বিএনপি সমর্থক বলে এলাকায় পরিচিত ছিলেন। দ্বিতীয় ধাপের নির্বাচনের তিন দিন আগে তিনি আহত হন
এপ্রিল বগুড়ার সোনাতলার দিগদাইড় ইউনিয়নে দুই ইউপি সদস্যের সমর্থকের সংঘর্ষে যুবলীগ কর্মী লিটন মিয়া মারা যান। আগের দিন তিনি সংঘর্ষে আহত হন। কুমিল্লা সদরের জোড়কানন (পূর্ব) ইউনিয়নে মোক্তার হোসেন খোকন নামে একজন মারা যান। এর আগে ৩১ মার্চ ইব্রাহিমপুর প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোট কেন্দ্রের সামনে দুই পক্ষের সংঘর্ষে আহত ছিলেন খোকন। ছাড়া বগুড়ার সারিয়াকান্দির কালামপুর ইউনিয়নে দুই পক্ষের সংঘর্ষে আওয়ামী লীগ নেতা আবদুল মজিদ নিহত হন। তিনি দ্বিতীয় ধাপের নির্বাচনের দিন সংঘর্ষে আহত হন। এপ্রিল ঝিনাইদহ সদরে পদ্মকর ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের প্রার্থীর সঙ্গে দলীয় বিদ্রোহী প্রার্থীর সংঘর্ষে আকামত আলী মীর নামে একজন নিহত হন। তিনি আওয়ামী লীগ কর্মী। একই দিনে নড়াইলের কালিয়া উপজেলার জয়নগর ইউনিয়নে নৌকার প্রার্থীর সমর্থকদের সঙ্গে দলীয় বিদ্রোহী প্রার্থীর সমর্থকদের সংঘর্ষে শহীদ আলী নামে একজন নিহত হন। তিনি স্থানীয় ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ নেতা। শেরপুরের শ্রীবরদীর খড়িয়া কাজিরচর ইউনিয়নে দুই ইউপি কর্মী-সমর্থকের সংঘর্ষে হুরমুজ আলী নামে এক পরাজিত মেম্বার প্রার্থী নিহত হন
১২ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জের মুড়াপাড়া ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ প্রার্থীর সমর্থকদের সঙ্গে বিদ্রোহী প্রার্থীর সমর্থকদের সংঘর্ষে জাহাঙ্গীর মিয়া নামে একজন নিহত হন। তিনি নৌকার প্রার্থীর কর্মী বলে পরিচিত। একই দিনে বান্দরবানের রুমার পাইন্দু ইউনিয়নে মংনু মারমা নামে একজন ইউপি সদস্য প্রার্থী নিহত হন। এর আগে তিনি বান্দরবান শহরে পোস্টার নিতে গিয়ে নিখোঁজ হন। পরে হোটেল থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়। ১৫ এপ্রিল যশোরের মনিরামপুরের মশ্নিমনগর ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের নির্বাচিত চেয়ারম্যান প্রার্থীর সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে চেয়ারে বসাকে কেন্দ্র করে পিটুনিতে নিহত হন রাজু আহমেদ নামে একজন আওয়ামী লীগ সমর্থক। ১৬ এপ্রিল পিরোজপুরের স্বরূপকাঠি উপজেলার জলাবাড়ী ইউনিয়নে নির্বাচনী বিরোধে আওয়ামী লীগ দলীয় চেয়ারম্যানের সমর্থকরা জেপি প্রার্থীর সমর্থক জসিম উদ্দিন হাওলাদার পলাশকে পিটিয়ে হত্যা করেন। মাদারীপুরের মস্তফাপুরে ইউপি নির্বাচন-পরবর্তী সহিংসতায় আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থীর সমর্থকদের হামলায় জুয়েল মল্লিক নামে আওয়ামী লীগ প্রার্থীর ভাতিজা নিহত হন। ১৭ এপ্রিল মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখানে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থীর হামলায় প্রাণ হারান ইউনিয়ন ছাত্রলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র মো. আসিফ (২১) পাঁচ দিন আগে তার ওপর হামলা চালানো হয়। তিনি আওয়ামী লীগ দলীয় প্রার্থীর সমর্থক ছিলেন। একই দিনে পটুয়াখালীর বাউফলের আদাবাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে মাদবপুর গ্রামের ইউপি সদস্য প্রার্থী পরিতোষ হাওলাদারের চাচা দীনবন্ধু হাওলাদার প্রতিপক্ষ সদস্যের হামলায় নিহত হন
১৯ এপ্রিল গাজীপুরের শ্রীপুরের প্রহ্লাদপুর ইউনিয়নে দুর্বৃত্তদের হামলায় আক্তার হোসেন খন্দকার নামে এক ইউপি সদস্য প্রার্থী নিহত হন। তিনি ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ নেতা। ২১ এপ্রিল রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলার কাফ্রিখাল ইউনিয়নে দুই ইউপি সদস্যের সমর্থকের সংঘর্ষে আবদুল হান্নান (৩০) নামে একজন নিহত হন। তিনি আওয়ামী লীগ কর্মী ছিলেন। ২৩ এপ্রিল ভোটের দিন প্রাণ গেছে জনের। এর মধ্যে পাবনার চাটমোহরে মথুরাপুর ইউনিয়নে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর গুলিতে এমদাদ হোসেন ইন্দা নামে এক ভোটার নিহত হন। আওয়ামী লীগ চেয়ারম্যান প্রার্থীর পক্ষে ব্যালট পেপারে সিল মারাকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে ইদ্রিস মিয়া নামে আরও এক ভোটার নিহত হন। ফরিদপুরের মধুখালীর বাগাট ইউনিয়নে দুই চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকের সংঘর্ষে আওয়ামী লীগ প্রার্থীর ভাই আতিয়ার রহমান খান নিহত হন। গাজীপুরের শ্রীপুরের মাওনা ইউনিয়নে দুই ইউপি সদস্যের সমর্থকের সংঘর্ষে পরাজিত মেম্বার প্রার্থীর ভাই আবুল খসরু কিশোরগঞ্জের ভৈরবের শ্রীনগর ইউনিয়নে দুই ইউপি সদস্যের সমর্থকের সংঘর্ষে সিদ্দিক মিয়া নিহত হন। ২৫ এপ্রিল মাগুরার শ্রীপুরের গয়েশপুর ইউনিয়নের বিজয়ী আওয়ামী লীগ প্রার্থী আবদুল হালিম পরাজিত আওয়ামী লীগ বিদ্রোহী প্রার্থী ইউসুফ মণ্ডলের কর্মী-সমর্থকের মধ্যে সকালে সংঘর্ষ হয়। সময় ধারালো অস্ত্রের আঘাতে আবদুল হালিম চেয়ারম্যানের সমর্থক আওয়ামী লীগ কর্মী বাবলু মিয়া (৩৫) নামে একজন ঘটনাস্থলেই নিহত হন
একই দিনে গাজীপুরের শ্রীপুরে নির্বাচনোত্তর সহিংসতায় আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থীর (পরাজিত) সমর্থকরা উপর্যুপরি কিল-ঘুষি দিয়ে বিজয়ী প্রার্থীর সমর্থক হযরত আলী সরদার (৫৫) নামে এক ব্যবসায়ীকে হত্যা করেন। তিনি আওয়ামী লীগ কর্মী। নেত্রকোনোর কেন্দুয়া উপজেলার গরাডোবা ইউনিয়নে সংঘর্ষে ইকবাল হোসেন নামে এক আওয়ামী লীগ সমর্থক নিহত হন
২৬ এপ্রিল নোয়াখালীর হাতিয়ায় চরকিং ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের হামলায় আবু তাহের নামে এক আওয়ামী লীগ সমর্থক নিহত হন। ২৮ এপ্রিল কুষ্টিয়া সদরের আলামপুর ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ চেয়ারম্যান প্রার্থীর সঙ্গে বিদ্রোহী প্রার্থীর সমর্থকদের সংঘর্ষে মোল্লা মাসুদ করীম (লাল্টু মোল্লা) নামে এক আওয়ামী লীগ কর্মী নিহত হন। মে কুমিল্লার চান্দিনার মাইজখাঁর ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের সঙ্গে বিদ্রোহী প্রার্থীর সমর্থকদের সংঘর্ষে নিহত হন আবদুল মান্নান। ১৯ এপ্রিল সংঘর্ষে আহত হওয়া এই আওয়ামী লীগ নেতা বিদ্রোহী প্রার্থীর চাচা। একই দিনে ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জের সোহাগী ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ জাতীয় পার্টির কর্মী-সমর্থকের সংঘর্ষে মজিবুর রহমান নামে একজন নিহত হন। তিনি আওয়ামী লীগ দলীয় চেয়ারম্যানের চাচা। মে মাদারীপুরের কালকিনির সাহেবরামপুর ইউনিয়নে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থক আবুল কালাম (কালু শিকদার) নামে এক আওয়ামী লীগ সমর্থককে হত্যা করা হয়। মে চট্টগ্রামের হাটহাজারীর মির্জাপুর ইউনিয়নে নির্বাচনী ক্যাম্পের কাছে গুলিবিদ্ধ হয়ে নূরে এলাহী নামে এক আওয়ামী লীগ কর্মী নিহত হন। একই দিনে ঝিনাইদের হরিণাকুণ্ডুর ফলসি ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ প্রার্থীর সমর্থকদের সঙ্গে বিদ্রোহী প্রার্থীর সমর্থকদের সংঘর্ষে দিদার হোসেন নাকে একজন নিহত হন। তিনি আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থীর সমর্থক। মে চতুর্থ ধাপের নির্বাচনের দিন নিহত হন জন। এর মধ্যে রাজশাহীর বাগমারার আউচপাড়া ইউনিয়নে পুলিশের গুলিতে আওয়ামী লীগের দুই কর্মী সিদ্দিকুর রহমান (২৪) মুনতাজ (৪২) নিহত হন। নরসিংদীর রায়পুরার পাড়াতলী ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী জাকির হোসেনের সমর্থক হোসেন আলী নৌকা প্রতীকের প্রার্থীর ধারালো অস্ত্রের আঘাতে নিহত হন। রায়পুরার শ্রীনগর ইউনিয়নে বিদ্রোহী প্রার্থীর সমর্থক আহমদ আলীর ছেলে সুমন মিয়া (৩০) নৌকা প্রতীকের প্রার্থীর দেশীয় অস্ত্রের ঘায়ে প্রাণ হারান। কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার মাধবপুর ইউনিয়নে দুজন ইউপি সদস্য প্রার্থীর কর্মী-সমর্থকের মধ্যে সংঘর্ষের সময় তাপসচন্দ্র দাস (৩২) নামে এক যুবককে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। তাপস চান্দলা গ্রামের কানুচন্দ্র দাসের ছেলে
ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গীর পাড়িয়া ইউনিয়নের কালডাঙ্গা মাদ্রাসা ভোট কেন্দ্রে জাল ভোট দেওয়াকে কেন্দ্র করে তিন ইউপি প্রার্থীর কর্মী-সমর্থকের সংঘর্ষ চলাকালে গুলিতে এক যুবক নিহত হন। তার নাম মাহবুব আলম (১৮) তিনি মাছখুড়িয়া গ্রামের আবদুল জব্বারের ছেলে। একই দিনে বালিয়াডাঙ্গীর আমজানখোড় ইউনিয়নে দুই ইউপি সদস্যের সমর্থকের সংঘর্ষে ইটের আঘাতে আছমা বেগম নামে একজন নিহত হন। গাইবান্ধার সাদুল্লাপুরের ধাপেরহাট ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থীর সমর্থক লেবু মিয়া (৪০) পুলিশের গুলিতে নিহত হন
মে চাঁদপুরের শাহরাস্তির দক্ষিণ রায়শ্রী ইউনিয়নে জামাল হোসেন নামে এক যুবলীগ কর্মী নিহত হন। ভোটের দিন আওয়ামী লীগের প্রার্থীর সঙ্গে বিদ্রোহী প্রার্থীর সংঘর্ষে আহত হন তিনি। একই দিনে মারা যান গাইবান্ধার সাদুল্লাপুরের ধাপেরহাট ইউনিয়নে লেবু মণ্ডল নামে কৃষি ব্যাংকের এক অফিস সহকারী। তিনি ভোটের দিন আওয়ামী লীগের চেয়ারম্যান প্রার্থীর সঙ্গে বিদ্রোহী প্রার্থীর সমর্থকদের সংঘর্ষে আহত হয়েছিলেন। চতুর্থ ধাপে ময়মনসিংহ সদরে সদস্য পদেরপরাজিত এক প্রার্থীর সমর্থকদেরহামলায় গতকাল আহত এনামুল হক (৩০) এক যুবক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। তার বাড়ি পরানগঞ্জ ইউনিয়নে। ওই ইউনিয়নের নির্বাচিত ইউপি সদস্য বাবুলের সমর্থক ছিলেন তিনি। চার ধাপের সহিংসতার বিষয়ে আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য সড়ক পরিবহন সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, ‘দলীয় প্রতীক ছাড়াও নির্দলীয় নির্বাচনের সময়ও ইউপিতে সংঘর্ষ মারামারি হয়। এবারও তাই হয়েছে। ইউপিতে মূলত দ্বন্দ্ব হয় সামাজিক, পারিবারিক দলীয় কোন্দলের কারণে। দলীয় প্রতীকে নির্বাচন এবারই প্রথম কারণে অনেকেই বিদ্রোহী প্রার্থী হয়েছিলেন। যে কারণে কিছু সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। তবে আরও কয়েকটি নির্বাচন দলীয় প্রতীকে হলে এসব কমে আসবে।অন্যদিকে দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ নির্বাচনের সহিংসতার ঘটনাকে সামাজিক গোষ্ঠীগত দ্বন্দ্ব বলে জানান। সব ঘটনাই নির্বাচনকেন্দ্রিক নয় বলেও মন্তব্য করেন তিনি
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য লে. জেনারেল (অব.) মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘প্রতিটি মৃত্যুই দুঃখজনক। কে কোন দলের তা না দেখে প্রতিটি ঘটনারই সুষ্ঠু তদন্ত হওয়া উচিত। সহিংসতা দিন দিন যেভাবে বেড়ে চলেছে, তাতে ভবিষ্যতে মানুষ নির্বাচনের নাম শুনলেই ভয় পাবে। কেউই ভোট কেন্দ্রে যেতে চাইবে না। আমার মনে হয়, সেদিকেই যাচ্ছে দেশ


by MM Telecom Pvt Ltd